এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ সুন্দর ধরণীর বুকে বিচিত্র মানুষের বিচিত্র বসবাস। বিচিত্র দৃশ্যের চিন্তা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করলেও আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন আজও হয়নি ক্ষেত্র বিশেষে। আর হ্যা পাঠকদের জন্য বলছিলাম পিরোজপুর জেলার মধ্যে নেছারাবাদ থানার মধ্যে সকল হত্যা মামলার বিষয় নিয়ে। বিচারের আওতায় আনা হলেও আজও নানান বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে অনেক অজানা বিষয়ে সাহসী উচ্চারন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বিচারের আওতায় আনা হলেও আজও নানান বিষয়ে বিতর্ক আছে। স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে অদ্যবদি যতগুলো হত্যা সংঘটিত হয়েছে তার বেশীর ভাগ বিচার শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়েছে বলে সমাজের বেশীরভাগ সুশীল সমাজ মনে করেন। প্রশাসনের সুদৃষ্টি নিয়ে কমবেশি বিতর্ক আছে তবে সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মত জনবল নেই বললেই চলে। অঞ্জাত কারণে অতল গহবরের মধ্যে হারিয়ে গেছে বিগত সময়ে নামী দামি হত্যা মামলা। অতীত ইতিহাস ঘাটাঘাটি করতে গেলে সমাজের অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে। বিগত ৮০ দশকে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের অলংকারকাঠীতে ৭ ব্যাক্তির হত্যা মামলার বিষয় নিয়ে কমবেশি বিতর্ক ছিল। সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে শাজাহান মাঝির হত্যা মামলার বিচার নিয়ে তৎকালীন বি এন পির সরকারের সময়ে সঠিক নিয়মে সঠিক পথে আগাতে দেয়নি বিচার ব্যাবস্থাকে। প্রয়াত সাবেক হুউপ সৈয়দ শহিদুল হক জামালের নগ্ন থাবা ন্যায় বিচার পেতে কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য সেই সময়ে উপজেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ ন্যায়ের পক্ষে কঠিন ভূমিকা পালন করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সত্যের পথে একমাত্র সাহসী নেতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সরাসরি হুইপের সাথে যুদ্ধে নামেন। আবার অপর দিকে যুবলীগের নেতা মোঃ মামুনের হত্যা মামলা নিয়েও দারুণ বিতর্কিত হচ্ছে। এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, এখন পর্যন্ত একমাত্র সাবেক এম পি অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যারের ভূমিকায় ন্যায় বিচারের স্বপ্ন দেখেন মামুনের পরিবার সহ সাধারণ মানুষ। এদিকে গত পরশু বৃহস্পতিবার সুটিয়াকাঠীর আল ইনান ট্রলার শ্রমিক উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ সাতলা গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে মোঃ ফাহাদ মোল্লা আকাশের ঝুলন্ত লাশ নিয়ে ইতিমধ্যে নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সর্বমহলে। সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায় বিচার পাওয়া স্বপ্নের মতো। সমগ্র বাংলাদেশ সহ প্রতিটি উপজেলার মধ্যে ন্যায় বিচার পাওয়া সোনার হরিণের মতো। হোক সে অসহায় ট্রলার শ্রমিক সহ মামুন হত্যা কিংবা শাজাহান মাঝির হত্যা নিয়ে আজও নানা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এব্যাপারে সমাজের বিজ্ঞ মহল মিডিয়াকে বলেন, আসলে ন্যায় বিচার পেতে হলে অর্থের জোর সহ জনবল থাকতে হবে। অপরদিকে কিছু কিছু বিচার ব্যাবস্থা বিচারকের সঠিক সুদৃষ্টি থাকায় রাজনৈতিক নেতাদের অদৃশ্য হাত সুষ্ঠু বিচারের পথ রুখতে পারেনা। অবশ্য এহেন সৌভাগ্য ভান পরিবারের সংখ্যা খুবই কম। তারপরও সাধারণ মানুষের আশা সঠিক নিয়মে সঠিক পথে সুষ্ঠু বিচারের আশায় আশায় নিত্য নতুন স্বপ্নে বিভোর সমাজের হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন। সর্বশেষ তথ্য মতে নেছারাবাদ থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে প্রতিটি হত্যা মামলার পিছনে একটা অপশক্তি কাজ করে। তবে প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে সঠিক পথে আগাতে চায় সুন্দর বিচারের প্রত্যাশায়। ন্যায় বিচারের দাবী সমাজের সর্ব মহলের। পাশাপাশি নেছারাবাদ থানার দায়িত্ব পালন কালে আমি সর্বক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে পথ চলার চেষ্টা করি । তাই যেকোন হত্যা মামলা তদারকি করতে কারো কোনো বাধা বা হুমকি আমাদের চলার পথে কাটা হতে পারবে না। আমরা ন্যায় বিচারের পূজারী।
Leave a Reply